ছড়া - কবিতা ৮ । পৌষ ১৪৩১



    রাতের দেশে 












কিরণময় নন্দী

হুগলী, পশ্চিম বঙ্গ



আমি তখন গভীর ঘুমে,

কে যেন মিষ্টি হেসে আমার শির চুমে!

বললো খোকা, "তুই তো শুধুই ঘুমিয়ে থাকিস? আয় বাহিরে আয়!"

 

কোনো এক জাদুর ছোঁয়া,

দরজা খুলে, সিঁড়ি বেয়ে, মাঠের পথে দিচ্ছি ধাওয়া!

সে ডাকে... আমিও ছুটি... মাঝে মাঝে বলছি তারে, "যাই!"

 

মাঠের পরে মাঠ পেরিয়ে,

চাঁদের আলোয় হাসি ছড়িয়ে!

ছোটো ছোটো হাজার শিশুর খেলাধুলার হাট!

 

আমি বুঝি স্বপ্ন দেখি,

নিজে নিজেই চিমটি কাটি,

আমার কাছে রাঙা ধুলোয় ভরা তেপান্তরের মাঠ!

 

কারও হাতে ডাংগুলি,

কেউ বা গাছে দোদুল দুলি!

কেউ বা খোলামকুচিই মিছিমিছি রান্নাবারি খেলে,

 

আমার মতন কত ছেলেই,

সবকিছু গেছে ভুলেই!

ছুটেই চলে সারাদিন পড়া-পড়ার যন্ত্রণা ভুলে!

 

সে আমায় বলে, "কি হলো খোকা,

দাঁড়িয়ে আছো; বেশ তো বোকা,

খেলবে না এই মধুর চাঁদনী আলোর মাঠে?"

 

আমি তখন শান্ত ভীষণ,

ভুলেই গেছি বদমেজাজি জেদ কেমন!

ভোর থেকে রাত বই ছাড়াও একটা সবুজ মাঠ আছে!

 

কারও এখন নেই তাড়া,

স্কুলের পরেও টিউশনে পড়া!

ফুলের গায়ে হাত বুলিয়ে রঙিন প্রজাপতি হয়ে বেড়ায় উড়ে।

 

হঠাৎ ভীষণ হৈ হট্টগোলে

জানালা দিয়ে আসা রোদ্দুরে চোখ মেলে,

হারিয়ে গেছে রুপালি মাঠ স্বপ্ন ছেড়ে দূর বহুদূরে!!