আভা সরকার মণ্ডল

দেখলাম তিনি দরজার পাল্লা ধরে স্নেহশীল দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন আমাদের যাওয়ার পথের দিকে।          ছবি - আভা সরকার মণ্ডল

  দাদা সবেতেই হাসেন










আভা সরকার মণ্ডল





 

১ম পর্ব

পূর্বে অনেক অনুষ্ঠানেই মাঝেমধ্যে দেখা হয়ে যেত। বর্তমানে তাঁর শরীর খুব একটা ভালো যাচ্ছে না, বয়স হচ্ছে। কোনও অনুষ্ঠানেও তাঁকে আর বিশেষ দেখা যায় না। আমি গিয়েছিলাম তাঁর বাড়িতে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত একটি বাক্যও ব্যয় করেন না, কিন্তু দাদা সবেতেই হাসেন। মুখে হাসির রেখাটি তাঁর সদা উজ্জ্বল, কখনোই মলিন হয় না। তিনি অত্যন্ত আন্তরিক হওয়া সত্ত্বেও কম কথা বলেন বলে অনেকে তাঁকে ভুল বোঝেন, অহংকারী ভাবেন। এমন মাটির মানুষ আমি খুব কমই দেখেছি। তাঁকে দেখলেই আমার বাবার কথা মনে হয়। আমার বাবাও ঠিক এমনই ছিলেন

 

যাঁর কথা বলছি তিনি ছড়া সম্রাট ভবানীপ্রসাদ মজুমদার। তিনি বাস করেন হাওড়া জেলার জগাছা থানার অন্তর্গত দাশনগরের কাছে দক্ষিণ শানপুর গ্ৰামে। সেখানেই কালীতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনি শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে সেই বিদ্যালয়েই তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ২০১০ সালে কর্মজীবন শেষ করে অবসরগ্রহণ করেন

আমরা কয়েকজন কবিবন্ধু মিলে যাচ্ছিলাম তাঁর বাড়ি। বাড়ির কাছাকাছি এসে একজন সিভিক পুলিশকে ঠিকানা দেখিয়ে বাড়িটি কোথায় জানতে চাইলাম। আমাদের কাছ থেকে ভবানীপ্রসাদ মজুমদারের নাম শুনে সেই সিভিক পুলিশ ভাইটি খুব আশ্চর্য হল। বার বার করে জানতে চাইল এই সেই ভবানীপ্রসাদ মজুমদার কি না, যিনি লিখেছেন—জানেন দাদা, আমার ছেলের বাংলাটা ঠিক আসে নাআমরাহ্যাঁবলতেই সেই ভাইটিও তার ডিউটি ম্যানেজ করে আমাদের সঙ্গে রওনা হল এবং খুব আপশোশের সুরে জানাল, ‘দু-তিন বছর ধরে এখানে ডিউটি দিচ্ছি অথচ এমন একজন বিখ্যাত মানুষ পাশেই থাকেন সেটা জানতাম না।বুঝলাম, আসলে তিনি একজন অন্তর্মুখী মানুষ, ঢাক-ঢোল পেটাতে ভালোবাসেন না। নীরবে কাজ করে যান। তাই তাঁর কাছাকাছি থেকেও অনেকেই তাঁকে চেনেন না

তাঁর ঘরে ঢুকে অবাক হওয়ার পালা। ঘরের মেঝে থেকে আলমারির মাথা অবধি শুধু পুরস্কার, মানপত্র, স্মারক আর বই। মেঝের উপর, খাটের উপর, টেবিলের উপর—কোথাও এতটুকু জায়গা খালি নেই। তারই মাঝে একটি চেয়ারে বসে আছেন বিস্ময় প্রতিভা। যাঁকে দেখলে শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসে আপনিই। প্রণাম করতেই মাথায় হাত ছোঁয়ালেন তিনি। শিশুর মতোই নির্ভেজাল তাঁর আচরণ, শিশুর মতোই সরল তাঁর মন; সেই কারণেই বুঝি শিশুদের মনের অলিগলি তাঁর এত পরিচিত এবং তার আনাচে-কানাচে তাঁর এমন অবাধ বিচরণ। তাই তো দুই বাংলাতেই সমান জনপ্রিয় তিনি



 

আমার ছড়ার বইয়ের পাণ্ডুলিপিটা আমি সঙ্গেই নিয়ে গেছিলাম। একটু কথাবার্তা এগোতেই আমি সেটা তাঁর হাতে তুলে দিলাম। আমার আবদারে সাড়া দিয়ে তিনি আমার বইয়ের জন্য ভূমিকা লিখে দিলেন। তার আগে অবশ্য পাণ্ডুলিপিটি খুঁটিয়ে পড়ে নিলেন। অনেকটা সময় নিয়ে সবগুলো ছড়া পড়লেন এবং ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে কোনও কথাবার্তা বললেন না। মনোযোগ দিয়ে লেখাগুলো পড়ে তবে ভূমিকাটি লেখে দিলেন

ততক্ষণ আমাদের সঙ্গ দিলেন পদ্মাবউদি। আক্ষরিক অর্থেই তিনি তাঁর যোগ্য সহধর্মিণী। বউদি নিজেও যে মাঝে মাঝে ছড়া লেখেন, সেই খবরটি তাঁর নিজ মুখেই শুনলাম সেদিন। তাঁর হাতে তৈরি চা-জলখাবার খেতে খেতে আরও অনেক গল্প শুনলাম। শুনতে শুনতে মাঝে-মাঝেই তাকিয়ে দেখছিলাম দাদা কীভাবে আমার লেখা পৃষ্ঠাগুলো মুখের সামনে তুলে ধরে পড়ছেন। তাঁর হাত কাঁপছিল। লিখতে গিয়ে লাইনও বেঁকে যাচ্ছিল। শরীর ভালো নেই, তবু তিনি এতটুকু বিরক্ত হলেন না। দোতলা বাড়ির নীচটাতে দুজন মাত্র প্রাণী থাকেন। ওপরটা ফাঁকাই পড়ে থাকে। বউদি ঘুরে ঘুরে পুরো বাড়িটা আমাদের দেখালেন

আমি সেই সময় খুব উত্তেজিত এবং পুলকিত ছিলাম। আমার বইয়ের ভূমিকা লিখছেন ছড়া সম্রাট ভবানীপ্রসাদ মজুমদার—এ তো আমার কাছে বিরাট পাওনা। জীবনের একটি অমূল্য সঞ্চয়। এই মুহূর্তটি আমি কোনোদিন ভুলব না

অবাক হয়ে ভাবি, এমন করে হাসি, মজা, শ্লেষ একত্রে মিশিয়ে একজন মানুষ কীভাবে এমন অসাধারণ সব লেখা লিখতে পারেন? যাঁর লেখা ছড়া মুগ্ধ হয়ে পাঠ করেছি সবসময়, সেই তিনি স্বয়ং সামনে বসে আছেন—ভাবতেই শিহরিত হচ্ছিলাম বার বার।খোকার উক্তি, জবর যুক্তি’, ‘শিয়রের শমন’, ‘মামার বুদ্ধিইত্যাদি ছড়াগুলো মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল দ্রুতবেগে। কুড়ি হাজারেরও বেশি ছড়া যিনি লিখেছেন আমাদের জন্য, অবাক হয়ে দেখলাম তাঁর অতি সাধারণ যাপনচিত্র। কোত্থাও এতটুকু বাহুল্য নেই। এরই মধ্যে থেকে তিনি তাঁর কলম থেকে নামিয়েছেন এতসব অসাধারণ লেখা। ভরিয়ে দিয়েছেন শিশুসাহিত্যের আঙিনা

সময় ফুরিয়ে এল আমাদের। ফেরার সময় কিছুটা এগিয়ে এসে বাড়ির পাশেই বটতলার এক চায়ের দোকানে তিনি আমাদের সঙ্গে আর একদফা চা পান করলেন। কিছুক্ষণ আড্ডা চলল। তারপর তাঁকে বাড়ির দরজায় পৌঁছে দিয়ে, প্রণাম করে বিদায় নিলাম আমরা। তার আগে ছবি তুললাম সবাই মিলে। এটুকু স্মৃতিই তো সম্বল হয়ে থাকবে ভেবে

বাড়ির সীমানা ছাড়িয়ে এসে আবার পেছন ফিরে তাকালাম। দেখলাম তিনি দরজার পাল্লা ধরে স্নেহশীল দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন আমাদের যাওয়ার পথের দিকে

ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন সুস্থভাবে বহুবছর বেঁচে থেকে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করতে পারেন। আমরা যেন তাঁর সৃষ্টির অজস্র মণিমাণিক্যের মাঝে ডুবে থেকে তার রসাস্বাদন করতে পারি

 

২য় পর্ব


আমার প্রথম ছড়া গ্রন্থসন্টাই পন্টাইকলকাতা বইমেলায় প্রকাশিত হবার পর থেকেই ভাবছি দাদার হাতে বইটি দিয়ে একবার প্রণাম করে আসব। কিন্তু কিছুতেই যাওয়া হয়ে উঠছে না। পদ্মাবউদির সঙ্গে ফোনে মাঝে মাঝে কথা হয়।  তিনি সবসময় বাড়িতে ডাকেন। রায়গঞ্জ আর কলকাতা দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে আমারই আর সময় হয়ে ওঠে না

দাদার শরীর ভালো নেই জানতাম, তবে যেদিন শুনলাম গ্যাংরিনাস ইনফেকশনের দরুন তাঁর একটি পা অ্যাম্পুট করতে হয়েছে, সেদিন ভীষণ দুঃখ পেলাম। মর্মান্তিক খবরটি শুনে পরদিনই ছুটলাম তাঁকে দেখতে। ঘরে ঢুকতেই হুইল-চেয়ারে দাদাকে বসে থাকতে দেখে চোখে জল চলে এল। তিনি বললেন, ‘কতদিন পর এলে!অপরাধীর মতো মাথা নীচু করলাম। সত্যি অনেক দিন আসা হয়নি। তিনি স্পষ্ট করে কথা বলতে পারছেন না। মাঝে-মাঝেই জড়িয়ে যাচ্ছে কথা। কিন্তু শিশুসুলভ নির্ভেজাল হাসিটি বরাবরের মতোই তাঁর ঠোঁটে লেগে আছে। আমার বইটি তাঁর হাতে তুলে দিতেই উলটেপালটে অনেকক্ষণ ধরে দেখলেন। ছড়াগুলো পড়তে শুরু করলেন। তিনি বরাবরই আমার লেখার প্রশংসা করেন, আজও করলেন। এ আমার পরম প্রাপ্তি। বউদি বললেন, আজ সারাদিন দাদা এই বইটাই পড়বেন। নতুন কোনও বই হাতে পেলে নাকি এমনটাই করেন। বউদি বইটা দেখতে চেয়ে অনেকক্ষণ টানাটানি করলেন, দাদা শক্ত হাতে ধরে রাখলেন, দিলেন না। বার বার বলতে লাগলেন, ‘আমার বই, আমার বই।নিজের লেখা ভূমিকাটি পড়লেন। তাঁকে নিয়ে লেখা আমার ছড়াটি জোরে জোরে পড়ার চেষ্টা করলেন। একটু পড়ে হাঁপিয়ে যেতেই বউদি পড়লেন বাকিটা। আমি ভিডিও করলাম দৃশ্যটি। তাঁরা খুব খুশি হলেন। আমার সঙ্গে ছবিও তুললেন। মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করলেন। থেমে থেমে অনেক কথাই বললেন দাদা। কখনও স্পষ্ট, কখনও অস্পষ্ট উচ্চারণে। দিলেন অতি মূল্যবান কিছু উপদেশ যা আমার চলার পথের পাথেয় হয়ে থাকবে চিরদিন। দাদা আমার নতুন বইয়ের জন্য ডায়েরিতে একটা শুভেচ্ছা বার্তা লেখার চেষ্টা করলেন। অনেকক্ষণ ধরে, অনেক চেষ্টা করেও গুছিয়ে লিখতে পারলেন না। আমি যত্নে রেখে দেব দাদার লিখতে চেষ্টা করা তিনটি পাতা। বউদি বললেন, কোনো-কোনো সময় পারেন লিখতে, আবার কোনো সময় একদমই  পারেন না



 

আমি দাদার পাওয়া পুরস্কারগুলো দেখতে চাইলে বউদি আমাকে দোতলার ঘরে নিয়ে গেলেন। আগেও এসেছি এই ঘরে। তখন কত ঝকঝকে তকতকে ছিল সব। এবার দেখলাম অনেকটাই মলিন সে-ঘরের অবস্থা। বউদি জানালেন, সবদিকে আর নজর দেয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। সরকারি, বেসরকারি—অনেক সংগঠনের পক্ষ থেকে পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ কত পুরস্কার, মানপত্র, মেমেন্টো ইত্যাদি ড্রেসিং টেবিল, আলমারি ও টেবিলের ওপর সাজানো আছে। কিছু আবার খাটের তলা থেকে টেনে টেনে বের করে আনলেন বউদি। তার মধ্যে অনেক পুরোনো বইপত্রও আছে। আমাকে উপহারও দিলেন অনেকগুলো বই

    তালা দেয়া ভ্যাপসা গুদাম ঘরটা খুলে দেখালেন আরও অজস্র পুরস্কার মানপত্র। বড়ো বড়ো বাক্সে বন্দি অবস্থায় পড়ে আছে আরও কত! সেখানে রাখা আলমারিগুলোর ভেতরে, খাটের উপরে নীচে—কোথাও একতিল জায়গা নেই। তার কতক নষ্টও হয়ে গেছে, কতক নষ্ট হবার পথে। অজস্র ফাইল-পত্র, লেখার সরঞ্জাম গাদাগাদি করে রাখা। বউদি দুঃখ করে বললেন, ‘আমারও তো বয়স হয়ে গেছে। আমি আর এগুলো সামলে রাখতে পারছি না। মেয়েরা মাঝে মাঝে এসে ঝেড়েমুছে গুছিয়ে দিয়ে যায়। কিন্তু এভাবে আর ক’দিন?’

আমি স্মৃতিতে রাখার জন্য সেসবের কিছু কিছু ছবি তুলে নিলাম। মনে হল কোনও সরকারি বা বেসরকারি  সংগঠনের পক্ষ থেকে এই মূল্যবান স্মৃতিগুলো সংরক্ষণ করা প্রয়োজন

বৌদি বললেন, অনেকে দাদার লেখা নিয়ে সংকলন বের করেন, কিন্তু তাঁরা দাদাকে তাঁর প্রাপ্য সম্মানিক দেন না। সে-ব্যাপারে অবশ্য দাদার কোনও নালিশ নেই। তবে বউদি দুঃখ পান। যেসব পত্রিকা দাদার লেখার জন্য ভালো সম্মানিক দেন সেসব পত্রিকার নামও বললেন বউদি

আমার কাছে দাদা-বউদির অনেকদিন আগের কিছু ছবি ছিল। সেগুলো চেয়ে নিয়ে বউদি মেয়েদের পাঠালেন হোয়াটস-অ্যাপে। সেসব ছবি পেয়ে তারা খুব উৎফুল্ল হল। আসলে দাদার দু-পায়ে ভর দিয়ে মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকা যে-কোনো ছবিই তাদের কাছে এখন খুব মূল্যবান

এরপর ছাদে গিয়ে কিছুক্ষণ গল্প হল। সিঁড়িতে এবং সিঁড়ি ঘরেও স্তূপাকার হয়ে আছে বিভিন্ন কবি সম্মেলন থেকে পাওয়া নানান ধরনের স্মারক-সম্মান, মেডেল, মেমেন্টো ইত্যাদি

নীচে নেমে এলাম

এখান আসার আগে বউদি একঘণ্টা সময় বরাদ্দ রেখেছিলেন আমার জন্য। ঘড়ি ধরে দাদাকে খাওয়াতে হয়, ওষুধ দিতে হয়। সেই কারণে। কিন্তু কোথা দিয়ে যে আড়াই ঘণ্টা কেটে গেছে কেউ টেরও পাইনি। বাড়িতে দাদাকে দেখাশোনার জন্য নার্স রাখা আছে। তিনি দাদাকে ওষুধ এবং স্যুপ খাইয়ে দিয়েছেন। দাদা কী খেতে ভালোবাসেন জিজ্ঞেস করতেই বৌদি বললেন, ডাল-ভাত। দাদা নাকি সবসময় বলেন, ‘আমি ডাল-ভাত খেতে ভালোবাসি এবং চাই পৃথিবীর সব মানুষ ডাল-ভাত খেয়েই বেঁচে থাকুক।

কোনও মানুষ যেন অনাহারে না থাকেন, এটাই তাঁর চাওয়া

এবার ফেরার পালা। দাদা তখনও আমার বইটি হাতে ধরে আছেন। প্রতিবারের মতো এবার আর তিনি দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিতে আসতে পারলেন না। বউদি এলেন। তাঁরা দুজনেই বার বার করে বললেন আবার আসতে

বাড়ি ফিরে বিভিন্ন কবি সম্মেলন থেকে পাওয়া আমার টেবিল এবং আলমারি বোঝাই যত্নে সাজানো মেমেন্টো এবং সম্মাননা-স্মারকগুলোর দিকে তাকাতেই সেগুলো যেন দাঁত বের করে হাসতে শুরু করল

 

জানি মানুষ যতক্ষণ সচল থাকে ততক্ষণই নিজেকে এবং নিজের স্মৃতিগুলোকে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতে পারে। তাই বলে ভবানীপ্রসাদ মজুমদারের মতো স্বনামধন্য একজন কবির জীবনের সঙ্গে জড়িত সমস্ত নথিপত্র এভাবে নষ্ট হয়ে যাবে? শুধু তিনি সেগুলো গুছিয়ে রাখতে পারবেন না বলে? ভাবতেই মনটা খারাপ হয়ে গেল। মনকে সান্ত্বনা দিলাম এই বলে যে কোনো না কোনো সংগঠনের পক্ষ থেকে সহৃদয় মানুষজন নিশ্চয়ই একদিন এগিয়ে এসে সবকিছু সংরক্ষণ করবেন। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য যেটা একান্তই জরুরি। তবে সেই কাজ শুরু করতে যেন খুব বেশি সময় নষ্ট না হয়ে যায়, এই কামনাই করি

  

<