ছড়া - কবিতা ২ । শ্রাবণ ১৪৩১


  যাবে তুমি আমার দেশে













কিরণময় নন্দী

হুগলী, পশ্চিম বঙ্গ



























































































এই লেখাটির      >
মুদ্রিত সংখ্য
রেজিঃ ডাকে পেতে -

 

যাবে তুমি আমাদের দেশে.....

যেথায় ক্লান্ত নিশা শেষে ঊষার আগমনী,

স্নিগ্ধ শিশির হামাগুড়ি দেয় গাছগাছালির সবুজ দেহে,

আর লাজুকে বধূ স্নান সেরে সাজি নিয়ে ফুল তোলে উন্মনে,

যাবে? যাবে তুমি আমাদের দেশে.....



সত্যি বলছি তোমায়!

সবুজ ধানের ক্ষেতে একবুক আশা,

কুলুকুলু নদীর স্রোতে প্রেম-প্রীতি-ভালোবাসা,

দিগন্তে আকাশ প্রান্তর সঙ্গমে অবাধ মেলামেশা,

আর ওই ঘন বনানী.. মোহময়ী নেশা!

সত্যি বলছি তোমায়!

যাবে? যাবে তুমি আমাদের দেশে.....



কালবৈশাখীর কালো মেঘে অন্ধকার আকাশ

বিপদের গন্ধে চখা-চখির ঘরে ফেরার দ্রুততা,

পৃথিবী তখন অজানা ভয়ে নিস্তব্ধ

প্রলয়ের অপেক্ষা!

তবুও আবার প্রলয়ের নটরাজ নৃত্য শেষে

সৃষ্টির সোঁদা গন্ধ,

স্বস্তির ছোঁয়া!

সত্যি বলছি তোমায়!

যাবে?যাবে তুমি আমাদের দেশে....



সেই শ্রাবণের অবিরাম ঝরঝর..

দুরুদুরু কৃষকের বুক,

জানালার পাশে দামাল ছেলের শুকনো মুখ,

প্রকৃতির সেকি ভয়ঙ্কর রূপ,

ফ্যানসা ভাতের থালা হাতে গৃহিণী নিশ্চুপ!

প্রলয়ের শেষে ধান পলি মেখে শ্মশানের নীরবতা অদ্ভুত!

সত্যি বলছি তোমায়!

যাবে?যাবে তুমি আমাদের দেশে....



সাদা কাশ ফুলে দোলা

নীলাকাশে পেঁজা তুলো মেঘ-ভেলা,

শিউলির সুবাস মাতায় ভোরের কানন জুড়ে,

ওই মন উন্মন আগমনী সুরে,

হিমেল হাওয়ার উঁকি, রঙিন মন আঁকিবুকি,

মৌমাছি প্রতিদিন মাধবীলতার খোঁজ নিয়ে যায় উড়েউড়ে।

সত্যি বলছি তোমায়!

যাবে?যাবে তুমি আমাদের দেশে....



যাবে তুমি সেথায় সোনালী ধানের ক্ষেত

হিমেল হাওয়ায় দোলা দেয় দেহ-মন ঢলে ঢলে,

যাবে তুমি আমাদের দেশে....

কনক-রৌদ্র মাখা লাল মেঠো পথে প্রাণখোলা গাঁয়ের টানে?

যাবে?যাবে তুমি আমাদের দেশে.....



সত্যি বলছি তোমায়!

লাল পলাশের প্রেম ভরা বসন্তের একবুক ভালোবাসা,

কৃষ্ণচূড়া কথা কয় গোপনে!

শুধু একবার চলো, আমাদের দেশে

ওই অট্টালিকার ঘেরাটোপ ছেড়ে সবুজের আহ্বানে!



যাবে তুমি আমাদের দেশে.......

যাবে তুমি আমাদের দেশে?