গল্প - চুরেল - প্রতিমা রায় । মার্চ - ২০২৪





  চুরেল







প্র তি মা
রা য় 





....

....

কিশোর বার্তা-র 
এই গল্পটির ছাপা সংখ্যাটি রেজিঃ ডাকে পেতে -

 

 

চোখটা বন্ধ করে আধো ঘুমে ঝরোখা চমৎকার একটা স্বপ্ন দেখছিল পিঠে ব্যাগ নিয়ে ফ্ল্যাটের সামনের রাস্তাটা ক্রস করে স্কুলগাড়িতে উঠে মাকে হাত নাড়ছে, ড্রাইভার কাকু গাড়ি ছেড়ে দিল আহা ওরা সবাই মস্তি করে স্কুলে যাচ্ছে দুপাশে রাস্তার লোকজন দোকানপাট ছাড়িয়ে ওদের স্কুল বাস ছুটছে

        ঝকু এবার ওঠ। কখন সকাল হয়েছে- মায়ের গলা। স্কুল চললে এতক্ষণে ফাস্ট পিরিয়ড হয়ে যেত। ওঠ বলছি

স্বপ্ন চলে গিয়ে ঝকুর মন খারাপ হয়ে যায়, সেই ক্লাস ফাইভে স্কুলে গিয়েছিল, এখন সেভেন- কতদিন স্কুল যাওয়া নেই, প্রাইভেট টিউশন যাওয়া নেই, নেই নেই খেলা নেই, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হওয়া নেই, আড্ডা নেইক্লাসরুম নেই, ক্লাসে টিচারদের বকুনি নেই আর জীবনে সেরকম আনন্দও নেই। সক্কাল সক্কাল একরাশ বিষাদ এসে ঢেকে দেয়। স্কুলের কথা, বন্ধুদের কথা খুব মনে পড়ে। কত ঘটনা মাথার ভেতর উঁকি দেয়। 

এই নে দুটো চিপসের প্যাকেট ঝকু, একটা তোর আর একটা মেহুর– অনেক বায়না করার পর মা হাতে ধরিয়ে দিলে। তারপর স্কুল ইউনিফর্ম পরিয়ে স্কুলের ব্যাগটা পিঠে ঝুলিয়ে দিতে দিতে চোখ পাকিয়ে বললে- স্কুলে দুষ্টুমি করবে না, আমি দুপুরে স্কুলে নিতে গিয়ে মিসের যেন কোন নালিশ না শুনি। 

ঝকু বেজায় খুশিবাসে উঠেই বলে- কাকু আজ একটু মিউজিক চালাও তো- জঙ্গল জঙ্গল পাতা চলা হ্যায়। ড্রাইভার কাকু গাড়ি স্টার্ট দিতে দিতে মুচকি হেসে বলে- কি ব্যাপার রে টুনটুনি আজ এত খুশি?

আহা ঝকু না হয় একটু বেশি কথা বলে, কিন্তু কাকুর যে কত সুবিধে করে দেয়, অয়ন দীপ অর্ক বনি সায়নি নেহা বিচ্ছুগুলোতো গাড়িতে উঠেই দুষ্টুমি করে, গাড়ির সিটকভার ছেঁড়ে, গাড়ি নোংরা করে, জানলার বাইরে মুখ বাড়ায়। ঝকুই ওদের বকে দেয়, গাড়ি চালাতে চালাতে পিছন ফিরে কাকুর কি দেখা সম্ভব, অ্যক্সিডেন্ট হয়ে যাবে তো। তারবদলে কাকু বলে কিনা পাকাবুড়ি টুনটুনি। ওর ভালো নাম তো ঝরোখা, তা না বলে ঝকু বললেও চলে তা না টুনটুনি। সেই ক্লাস টু থেকে ড্রাইভার কাকু ওকে টুনটুনিই বলে। ঝরোখার হাসি পায়।  ওরাও অবশ্য অনেকের নাম দিত। নতুন মেয়েটার ঐ তো নাম দিয়েছিল- চুরেল

স্কুলে টিফিনে ফাস্টফুড নিয়ে যেতে বড়দিমনি স্টিকলি নিষেধ করেছেন। তবে ফাঁক ফোকরে এক আধদিন দুএকটা চিপস চলতেই পারে। ঝুটি দোলাতে দোলাতে স্কুলগাড়ি থেকে নেমে ড্রাইভার কাকুকে টা টা করে স্কুলে ঢুকে যায় ঝকু। সামনেই মেহুকে পেয়ে চূপি চুপি বলে- টিফিনে একটা স্পেশাল জিনিস আছে, পাশে অর্ক শুনে নেয়- এই ঝরোখা আমাদেরও দিবি

আচ্ছা দেবোখন

টিফিনে সায়নি আর দেবুকে মাঠে দৌড় করাতে করাতে ওরা যেই একটা করে চিপস মুখে চালান করেছে, ওমনি ক্লাসটিচার ম্যাম এসে খিঁচিয়ে ওঠেন- তোমারা ফাস্টফুড খাচ্ছো?

নো ম্যাম, একটু চিপস

ওটাও ফাস্টফুড, খেয়ো না। ফাস্টফুডে কোন পুষ্টিগুণ নেই, উল্টে আনহেল্দী ওগুলো

ওরা মাথা নাড়ায়

ম্যাম চলে যেতেই মেঘা হাত তুলে দেখায়- ওই দেখ ক্লাসরুমের দরজায় চুরেল দাঁড়িয়ে হাসছে। তার মানে ওই গিয়ে ম্যামকে আমাদের  কথা বলেছে, আমাদের বকুনি খাওয়ানোর জন্য। সত্যি ওর ভেতর খুব হিংসে, ঝকু তুই ওর একদম পারফেক্ট নাম দিয়েছিস ‘চুরেল’। 

চুরেল কী আর এমনি এমনি

ঝকুর মন খুব সরল। সে চুরেলকে ওদের গ্রুপে এন্ট্রি দিতে চেয়েছিল, কিন্তু ক্লাস থ্রিতে নতুন এসেই ওদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করলে মেয়েটা।  অর্কই ওর সঙ্গে প্রথম আলাপ জমাতে যায়। 

নতুন এসেছো তোমার নাম কি?

অর্ককে মুখ ভেঙ্গিয়ে বলে- তাতে তার কি দরকার?

ঝরোখা হাতটা বাড়িয়ে ফ্রেন্ডশিপ করতে চেয়েছিল, ও হাত সরিয়ে নেয়। ওরা আর কেউ ওকে নিয়ে মাথা ঘামায় না

সারাক্ষণ বরং মাথা ঘামায় চুরেল। টিচারদের সঙ্গে খুব ভাব জমায়, ক্লাসে ম্যামরা আসলেই বলে- ম্যাম আজকে আপনাকে খুব সুন্দর লাগছে, আপনার ড্রেসটা খুব সুন্দর। আপনি খুব সুন্দর ম্যাম। কালো গোলগাল চেহারার খড়ুস ইংলিশের অপর্ণা ম্যামকে ভেরি নাইস বলাতে, ম্যাম বললেন-থ্যাংক ইউ মাই বেবি, সো কিউট

ওরা জানে, এসব ম্যামকে তেল দেওয়ার জন্য। ক্লাস থেকে ম্যাম বেরোলেই নিন্দা করবে। 

মেঘা বিরক্ত হয়ে বলেই ফেলে- বিশ্ব ন্যাকা

সে যা হোক চুরেল ম্যামদের ব্যাগ অনেকসময় টিচার্সরুম থেকে আনে, ম্যাডামদের খাতা গুছিয়ে দেয়, চক পেন্সিল পড়ে গেলে তুলে দেয়। এসব করে ম্যামদের ভালো নজরে থাকতে চায় ওরা বোঝে। ক্লাস ফোরের প্রথম দিনে স্বগতা ম্যাম বললেন- নতুন ক্লাস। ক্লাস রুমটা তোমরা সুন্দর করে সাজাও। ঝরোখা তোমার আঁকার হাত ভালো, কয়েকটা ভালো পেইন্টিং এনে, বোর্ডের ওপর দিকটা সাজিয়ে দিও, অন্যরাও আনবে

পরদিন ক্লাসে অনেক তাড়াতাড়ি এসে দেখে ঝরোখা- চুরেল বোর্ড সাজাচ্ছে। কতকগুলো পেইন্টিং এনে, একবার ভাবে বলি- সাজাচ্ছিস ভালো কথা, তবে আমার পেইন্টিংগুলো নিয়ে  ওপরের দিকে দে, তারপর ভাবে না অন্যরা আসুক, তখন না হয় দেখা যাবে। পেইন্টিংগুলো ব্যাগে রেখে বাইরে এসে মেহুল মেঘা অর্ক ওদের গ্রুপটার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। 

এই ঝকু আমি একটা পেইন্টিং এনেছি, আমারটাও বোর্ডে ঝোলাবি, মাথা দোলাতে দোলাতে মেঘা আসে, তার পেছনে অর্ক, সায়নি। 

আচ্ছা দেব, ক্লাসে চল

ক্লাসে ঢুকে ওরা দেখে- চুরেল বোর্ড সাজিয়ে ফেলেছে, বোর্ডের ওপর দিকে কয়েকটা সুন্দর পেইন্টিং। পেইন্টিংগুলোর নীচে চুরেলের নাম লেখা। ঝকু ছুটে এসে নিজের ব্যাগ খোলে, দেখে তার পেইন্টিং নেই। হাউমাউ করে কেঁদে ফেলে। বলে- চুরেল কোথাকার। আমার পেইন্টিং তুই নিজের নাম লিখে নিলি। অন্যরা তো অবাক। ম্যাডাম এসে ঝরোখাকেই অবশ্য বকলেন- কেননা ঝরোখা তো পেইন্টিং নিয়েই আসেনি। ও মেয়ে অনেক আগেই ছবিগুলো দেখিয়ে এসেছে ম্যামকে। ঝকু বুঝতে পারে ব্যাগটা ক্লাসে রেখে বাইরে যাওয়া ঠিক হয়নি। সেদিন থেকে সবাই তাইজিনকে আড়ালে চুরেল বলে ডাকতে শুরু করে

এরপরেও চুরেল কত কান্ড করেছে। ক্লাস ফাইভের স্কুলের অ্যানুয়েল ফ্যাংশনে সোলো ডান্স মেহুর। তারপর মেঘাদের গ্রুপ ডান্স। ডান্স ম্যামের গায়ে পড়ে ক’দিন ধরেই ভাব জমাচ্ছিল চুরেল। স্কুল ছুটির পর ডান্স ম্যামের সঙ্গে কথা বলতে বলতে বাড়ি যেত চুরেল, ওরা গেস করছিল কিছু একটা ঘটবে। ঠিক তাই। মেহুর ডান্স বাদ পড়ল, ম্যাম বললেন- টাইম এনাফ হয়ে যাচ্ছে, মেহু গ্রুপ ডান্সে জয়েন করো। 

আর ঐ ক্লাসেই ঝরোখা বেস্ট রেজাল্ট করায় বড়দিমনি একটা দামী পেন গিফট দিলেন, ঝরোখাদের পুরো টিম তো খুব খুশি। টিফিনে ওরা স্টোন পেপার সিজার খেলল, ক্যান্টিন থেকে খাবার কিনে খেল। বাড়ি ফেরার সময় দেখে ব্যাগে পেনটা নেই। অনেক খুঁজে আর পাওয়া গেল না, ক্লাস ম্যাম এসে বললেন- কেউ নিয়ে থাকলে দিয়ে দাও, অন্যের জিনিস নিতে নেই। তাও পাওয়া গেল না। ঝরোখার খুব দুঃখ হয়েছিল। বন্ধুদের সঙ্গে এই ঝগড়া ভাব সব যে খুব মিস করছে, বাড়িতে যে দম বন্ধ লাগছে!ঝরোখা বালিশটা আঁকড়ে ধরে, ওদের স্কুল কি আর খুলবে? আবার কবে যাবে স্কুলে? ঝকু শুয়েই থাকে, উঠতে ইচ্ছে করে না

শুয়ে শুয়ে শুনতে পায় মা মালতি পিসিকে বকেই চলেছে। 

            অ্যাই  মালতী হাত না ধুয়ে  কোন কিছু  ধোরবি  না।  ঝাড়ুটা জলে ধুয়েছিসবালতিটাসোফাটা ছুঁয়ে ফেললি, ওটা জল দিয়ে ধো, আহা  দরজায় হাত দিয়েছিস, এক বালতি জল ঢেলে দিস। বাসনগুলো আরেকবার জল ঢেলে  ধুয়ে  নে। ইদানিং মায়ের  এই ছোঁয়াছুঁয়ি সমস্যা টা খুব বেড়েছে। ঝকু  কোন জিনিস  ছুঁয়ে দিলে বা বাবাও ছুঁলে সব জল দিয়ে  ধোয়।  এমনকি টাকা পয়সাও বাদ যায় না। সব ধুয়ে রোদে শুকোতে দেয়। এই ধুতে ধুতে হাত পায়ের আঙুলগুলোর ভেতর কেমন সাদা সাদা হয়ে গেছে। মা ভাবে- পৃথিবীর যা কিছু সমস্যা জল দিয়ে ধুলেই সমাধান হয়ে যাবে। ইস সত্যি এমনটা যদি হতো! বাবা বলে মায়ের এটা অসুখ। এ অসুখ যে কারোর হতে পারেনির্মলকাকু আসছে আজ মাকে দেখতে। নির্মলকাকু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। সারাদিন জল দিয়ে সব ধুয়ে চলেছে, কেমন খিটখিটে মেজাজ মায়ের। মা আবার কবে আগের মতো হাসিখুশি হবে? ঝকুর কান্না পায়

কাকু এসে মাকে অনেককিছু খঁটিয়ে খুঁটিয়ে জিজ্ঞাসা করছে, ঝরোখা সব শুনছে আর মনে মনে ভাবছে- কাকুকে জিজ্ঞাসা করবে মা তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবে তো? বাবার তো অফিসে যেতেই হয়,  এই ঘরবন্দি জীবনে মাই যে তার একমাত্র ভরসা

কাকুই প্রথম জিজ্ঞাসা করলেন- কি ঝকু মা কেমন আছো? মায়ের জন্য ওষুধ লিখতে  লিখতে মুখ না তুলেই

ঝকু মাথাটা ডানদিকে বামদিকে হেলিয়ে ঠিক কি বলবে বুঝতে পারে না, তাও বলে ফেলে  ভালো না। 

সে কী? আমার ঝকু মা তো বুদ্ধিমতী। পৃথিবী জুড়ে এই মারণ ভাইরাসের কারণে আমরা কম বেশি সবাই একটু ট্রেসের ভেতর আছি। কিন্তু শীঘ্রই এর থেকে আলোর দিশা পাবো, তার জন্য মন খারাপ হলে চলবে না। বাই দ্য ওয়ে অনলাইনে ক্লাসগুলো করছো, বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট বা ফোন?

হাঁ

তারপর কাকু কি ভেবে জিজ্ঞাসা করলেন-তুমি তারিনীমোহন বিদ্যাচরণ স্কুলে পড়ো না?

হাঁ কাকু, ক্লাস সেভেনে

সেভেনে! তাইজিন হুসেনকে চেনো?

তাইজিন হুসেন! ফিসফিসিয়ে বলে-চুরেল! ঘাড় হেলায় ঝকু। কিন্তু কেন কাকু?

কোভিড মেয়েটার বাবাকে কেড়ে নিয়েছে। ছোটতেই মা হারা। সৎ মা একটুও ভালোবাসে না। দাদীই দেখে

ঝরোখার গলার কাছে কষ্ট দলা পাকিয়ে ওঠে। ওরা তো চুরেলের খবর রাখে না। চুরেলের মা ছিল না, এখন বাবাও নেই! মনে মনে বিড়বিড় করে তাহলে চুরেলও তো অনেক দুখী? মুখে বলে- ও কাকু তুমি কি ওদের বাড়ি যাও? ওকে চিনলে কি করে?

না রে মা। মেয়েটার দাদী ওকে আমার চেম্বারে নিয়ে আসে। অত ছোট মেয়ের মনের অসুখ! ছোট থেকে কষ্ট পেতে পেতে মেয়েটা কঠিন হয়ে ওঠে, পসেসিভ হয়ে ওঠে। সবসময় নিজের প্রতি অন্যের অ্যাটেনশন পেতে, অন্যের জিনিস কেড়ে নিতে, অন্যকে হার্ট করে মজা পেত। বাবার মৃত্যু ওকে আরো নিষ্ঠুর নিঃসঙ্গ এলোমেলো করে দেয়। ওষুধ খেয়ে এখন একটু ভালো আছে। এই ভাইরাসের থাবা তোদের মতো শিশু কিশোর মনগুলোকে ঝাঁঝরা করে দিচ্ছে, এই অবস্থা থেকে তোরাই তোদেরকে বের করে আনতে পারবি- বলেই স্নেহের হাতটা কাকু ঝরোখার মাথায় বুলিয়ে দেন

কাকু চলে যেতেই ঝরোখা ওদের গ্রুপে ফোন করে। মা বাবা মানা করলেও ওরা কোভিড বিধি মেনে মুখে মাস্ক পরে পারস্পরিক দূরত্ব মেনটেন করে স্যানিটাইজ করে কয়েকজন সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। বাড়ির দোরগোড়ায় গিয়ে ডাক দেয়- তাইজিন। তাইজিন

তাইজিন, দাদী বেরিয়ে আসে। 

দেখে ঝরোখা মেহুল মেঘা অর্ক দীপ সায়ন সামনে দাঁড়িয়ে

দাদী আমরা ওর বন্ধু, আজ থেকে সবসময় আপনাদের পাশে থাকব। কচি মুখগুলোয় আত্মবিশ্বাস ঝরে পড়ে

খুশিতে দাদীর চোখে জল। তাইজিনের মুখ চকচক করে ওঠে। অনেকদিন পর হাসে তাইজিন মনের ছোঁয়া পেয়ে। ছুটে ঘরের ভেতর যায়, ফিরে আসে হাতে একটা সুন্দর পেন নিয়ে। এই নে ঝকু বড়দিমনি ক্লাস ফাইভে তোকে যে পেনটা দিয়েছিলেন। আমি নিয়েছিলাম। শাস্তি দে

           ঝরোখা বলে হাঁ দেব। সঙ্গে সে ডাইরিটা এনেছিল। বাড়িয়ে দিয়ে বলে- ঐ পেন দিয়ে আমাদের গ্রুপে তোর নাম লেখ

তাইজিন লেখে- চুরেল

অনেকদিন পর ওরা আবার সবাই একসঙ্গে হো হো করে হেসে ওঠে।