ছড়া - কবিতা ৪ । মাঘ ১৪৩১

   কোকিলের বাসা












মানসী পাণ্ডা

মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র



কোকিলরানী ধরনা দিল বাবুই পাখির দোরে,

শিখতে হবে বাসা বোনা যেমন তেমন করে

ধৈর্যটাই আসল জেনো সূক্ষ্ম কাজের তরে,”

গর্ব ভরে বাবুই বোঝায় ঠোঁটটি উঁচু করে

ঠিক তখুনি ডাকল কুহু কোন্ এক দুষ্টু ছেলে,

সে রবেতে মাতল কোকিল বাসা বুনন ফেলে;

বাবুই দোরে আগল দিয়ে বলল, “তুমি যাও,

কাজকর্ম শিকেয় তুলে জলসাতে গান গাও!”

মনের দুখে কোকিল তখন বেগুন ক্ষেতে এল,

শেষ আশা যে টুনটুনি ভাই নয়তো সবই গেল!

পালক টেনে, লেজটি মেপে, দেদার আঁক কেটে,

টুনটুনি কয়, “ঠোঁটটি তেমন সূচালো নয় মোটে

ছিঁড়বে সব বেগুন পাতা যেই না দেবে সেলাই-

শেখার থেকে বড় হবে বাসা বোনার বালাই।”

বিরস মুখে, কোকিল বসে, আমগাছটির ডালে-

পড়বে না সে কক্ষনও আর বোনা বুনির জালে

থাকতে আমি ভাবছ কেন, ওগো কোকিলদিদি?

তোমায় আমায় এক রঙেতে গড়েছেন যে বিধি;

কাকের বাসায় কোকিল ছানা বাড়বে হাসি খুশি,

কথায় আছে মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি।”

কাকের কথায় বাঁচে কোকিল, সুর এল যে গলায়

কানের পোকা নড়ল সবার কুহু কুহুর জ্বালায়