এই লেখাটির > মুদ্রিত সংখ্য রেজিঃ ডাকে পেতে - | | কিশোর যখন ফলসা খুঁজত
কিশোরীরা শালুক ফুল
আকাশ পরত রোজই তখন
সাদা-কালো মেঘের দুল ।
সেদিন যখন কিশোরবেলায়
দিন ফুরাত নাও বেয়ে
কিশোরীর দল ব্রতের কথায়
মন ভরাত গান গেয়ে ।
সেসব দিনেই নদীর জোয়াড়
ডাক পাড়ত ভোরবেলা
ভাটির দেশের গয়নার নাও
মানত না তো বারবেলা ।
জল থই থই মাঠ ঘাট সব
ডাকত কিশোর কিশোরীকে
মাছের নেশায় ঝাপিয়ে পড়তে
মাছরাঙাদের রং মেখে ।
ওদের তখন সবার কাছেই
ছিল বিন্তি , খেপলা জাল
পারতও সব ধরতে দারুণ
পায়রাতেলি , চ্যাং , গজাল ।
কোন্ গাছেই না উঠতে পারত
ছেলেমেয়ে সেই দিনের
ঘরের চালেও উঠত ওরাই
প্রয়োজনে ঢেউ টিনের ।
ওরাই আবার পাড়ায় কারুর
বিয়ে হলে সব ক'জন
করবেটা যে , যার যা দরকার
জানত তা মানুষজন ।
ভোর না হতেই তাদের আবার
পড়াশুনার কলরব
শুনত পাড়ার সব মানুষই
যতই থাক মহোৎসব ।
সেসব জীবন কোথায় এখন
একটাও তো নেই আর
সবার ঘরেই উলুকঝুলুক
স্বার্থ চেনার অন্ধকার ।
সবকিছুতেই বিধান যখন -
সিঁড়ির ধাপে পা'টা রাখ
কাউকে দেখার দরকার নেই
নিজে আগে সামনে থাক ।
গুরুজনদের এমন কথায়
সবাই বাঁধে মালকোঁচা
রেললাইনটা নাকবরাবর
কেমন গেছে দেখ সোজা ।
দেখতে দেখতে সবাই আবার
ভুলে বসে পিছ-দুয়ার
তখন আবার গুরুজনরাই
মাপে বসে জল কুয়ার ।
কুয়ার জলও তখন আবার
তোলার সাধ্যি না থাকায়
টলটলে সব জল থাকতেও
বৃদ্ধাশ্রমে হাত মাথায় ।
এটাই জীবন চারদিকে আজ
সভ্যতার এই সংকটে
সময় থাকতে না দেখলে ঘর
এমনি করেই রং চটে ।
|