ধারাবাহিক রহস্য উপন্যাস । ভাদ্র ১৪৩১

  

 পলাতকের খোঁজে











সৈয়দ রেজাউল করিম
কলকাতা, পশ্চিম বঙ্গ



 

।। পর্ব : চার ।।

পলাতকের মনে পড়ে গেল

          

কিন্তু নিরাপদ আশ্রয় পাবে কোথায়? এই গঙ্গাসাগর মেলা ছেড়ে এখনই বা যাবে কোথায়? চারিদিকে যেভাবে চেকিং চলছে, যেভাবে খুঁটিয়ে-খুঁটিয়ে প্রতিটা মানুষকে পুলিশ দেখছে, তাতে পালিয়ে বাঁচার আশা থেকে, ধরা পড়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। সাগরেদদের বলে রেখেছিল পুলিশ কন্ট্রোল রুমের কাছাকাছি একটা ছাউনি বানিয়ে রাখতে। সাধারণত কন্ট্রোল রুমের ধারে কাছের ছাউনিগুলো পুলিশ খুব একটা নজর রাখে না। প্রদীপের নিচে অন্ধকারের মতো। পুলিশরা মনে করে দুর্বৃত্তরা কন্ট্রোলরুমের ধারে কাছে মরতে আসবে না। কাজটা কতদূর এগুলো কে জানে? ততক্ষনে কি করা যায়? এ কথা ভাবতে ভাবতে দৌড় দিলেন গঙ্গার দিকে। গঙ্গাতীরে পৌঁছে পরনের গেরুয়া বসন কিছুটা উপরে তুলে নেমে পড়লেন নদীতে। বুকের ধুকপুকানিটা তখন কিছুটা কমে এল সাধু বাবাজীর।

গঙ্গা নদী তখন মরা সাপ। ফোঁস ফাঁস নেই। কোন তর্জন-গর্জন নেই। অনেক শান্ত শিষ্ট ভাব। কানায় কানায় ভরা জল অনেকটা নিচে নেমে গেছে। বিরাট চড়া পড়েছে সেই বুকে। এ জায়গাটা অনেকটা নিরাপদ। কিন্তু কতক্ষন খাড়া হয়ে থাকবেন এই বালি কাদার মধ্যে? আশেপাশের লোকজন তাকে কিভাবে? এক মুহূর্ত চিন্তা করে নিলেন সাধুবাবাজী। পরিধেয় নামাবলীটা খুলে ভালো করে মাথায় জড়িয়ে নিলেন। একেবারে পাগড়ির মতো করে। সামনে কপালের দিকে একটু টেনে দিলেন। কে জানে কেউ যদি লক্ষ্য করে তার কপালের দিকে! চুলের ফাঁক দিয়ে লক্ষ্য করে সেই দাগ, সেই আঘাতের চিহ্ন। তাহলে আর রক্ষে নেই। বিপদের শেষ থাকবেনা। সাথে সাথে খবর চলে যাবে পুলিশ কন্ট্রোলরুমে। সোজা তাকে ধরে নিয়ে যাবে রাউত সাহেবের কাছে। কথাটা ভাবতেই সারা শরীরটা শিউরে উঠলো সাধুবাবাজীর। গায়ের লোমগুলো সব খাড়া হয়ে উঠল। নাক দিয়ে বের হয়ে এলো গভীর একটা দীর্ঘশ্বাস।

রাউত সাহেবকে বড় ভয় পায় সাধু বেশি পলাতক। ভয় পায় অলোক মিত্র, অনুজ ভার্মাকেও। তিনজনেই দেখতে রোগা পটকা। ফুঁ দিলে উড়ে গিয়ে পড়বে অন্য কোথাও। কিন্তু তাদের মাথাগুলো যেন এক একটা আস্ত কম্পিউটার। বড় শক্তিশালী। বড় ভয়ানক। তাদের বুদ্ধির কাছে কোনদিন দাঁড়াতে পারেনি পলাতক। তবুও এর মধ্যে কাজ করতে হয় তাকে। অত্যন্ত সতর্কতার সাথে। না হলে সোনারগাঁয়ের মানুষজনদের সুখ দুঃখে পাশে দাঁড়াবে কি করে? অসহায়, বঞ্চিতদের পাশে দাঁড়াবে কি করে? তাই বিপদের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। দরিদ্র অসহায়দের কি জ্বালা, কি অভিশাপ তা উপলব্ধি করে এসেছে সেই ছেলেবেলা থেকে। চক্রান্তের শিকার হতে হয়েছে প্রতি পদে পদে। না হলে কে সখ করে এসব বেছে নিত এই জীবন। কে লড়তে আসত প্রচলিত রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে? তাড়া খাওয়া জানোয়ারের মতো কে ছুটে বেড়াতে দুবেলা? রাষ্ট্রশক্তির কাছে আছে লোকবল, অর্থবল, অস্ত্রশস্ত্র, কিন্তু তার কাছে কি আছে? বলতে গেলে কিছুই নেই। তাদের শক্তির কাছে অতি তুচ্ছ তাদের শক্তি। তার মধ্যেও লড়াই করে চলেছে তারা।

পলাতকের মনে পড়ে যায় ফেলে আসা কয়েকটা দিনের কথা। হাতে টাকা পয়সা নেই। বুভুক্ষু মানুষদের ক্রন্দনরোল তাকে খুব বিচলিত করে তুলেছিল। টাকা চাই, টাকা। কিন্তু কোথায় পাওয়া যাবে একসাথে অনেক টাকা? ব্যাংক, ট্রেজারিতে ডাকাতি করা খুব সহজসাধ্য নয়। বন্দুক হাতে পাহারায় থাকে পুলিশ। সেখানে ডাকাতি করতে গিয়ে জীবন দেওয়া সমীচীন বলে মনে হলো না পলাতকের। অনন্তই আইডিয়াটা দিয়েছিল তাকে। বলেছিল আজকাল এ.টি.এমে. তো অনেক টাকা পাওয়া যায়। সেখানে পুলিশ পাহারা ২৪ ঘন্টার জন্য কোথাও থাকে না। যদি এ.টি.এম. ভেঙে আমরা টাকা নিতে পারি, তাহলে একসাথে অনেক টাকা পাওয়া যাবে। ভিতরে যে ক্যামেরা থাকে, তার মুখে কাগজ সেঁটে দিলে আমাদের হদিশ পাবে না কেউ।

       অনন্তর সেই কথায় চোখ খুলে গিয়েছিল পলাতকের। এ.টি.এম. ভেঙে টাকা লুট করা যে খুব একটা সহজ সাধ্য ব্যাপার নয়, সেটা তারা জানে। তবে এ.টি.এমে টাকা ভরার জন্য কমিশনের ভিত্তিতে কিছু কোম্পানিকে নিয়োগ করে রেখেছে ব্যাঙ্ক কত্তৃপক্ষ, এটা জানা ছিল তার। তারা গাড়িতে করে, ট্রেনে করে, বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে এ.টি.এম.গুলোতে টাকা ভরে আসে। সাথে সাথে মনে মনে একটা ছক কষে ফেলল পলাতক। বসন্ত আর সুশান্তকে ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে আসা, দিয়ে আসার ব্যাপারটা রেকি করতে বলল। কিভাবে সেই টাকা দূর-দূরান্তে নিয়ে যাওয়া হয়, তাও দেখে আসতে বলল।

পনেরদিন একনাগাড়ে রেকি করে বসন্ত সুশান্ত পেশ করল তাদের রিপোর্ট। প্রতিদিন সকালে কলকাতা থেকে টাকা নিয়ে দুটো আইরন চেষ্টে টাকা ভরে ব্যাংকের নিয়োজিত এক কোম্পানি টাকা নিয়ে যায় বীরভূমে। এ.সি. ট্রেনে চেপে। সকাল নটায়। তা শুনে পলাতকের চোখ দুটো চকচক করে ওঠে। 

তাদের কাছে জেনে নেয়, সাথে পুলিশের কোন বন্দুক ধারী লোকজন যায় কিনা? সমস্ত কিছু বিচার বিবেচনা করে একটা ছক কষে ফেলে পলাতক। সেই হিসাবে লোক দিয়ে ট্রেনের টিকিট কেটে ফেলে। মানুষজনকে অক্ষত রেখে কিভাবে অপারেশন করতে হবে তা বুঝিয়ে বলে দেয় সুশান্ত ও বসন্তকে। সেই অনুসারে নির্দিষ্ট দিনে সুশান্ত ও বসন্ত প্যাসেঞ্জার হিসেবে চেপে বসে সেই ট্রেনে।

নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন চলতে শুরু করে। বসন্ত, সুশান্ত লক্ষ্য করে দুটো টাকা বোঝাই আয়রন চেস্ট তোলা হয়েছে তাদের কামরায়। কাঁধে বন্দুক নিয়ে দুজন পুলিশ আছে তার প্রহরায়। ঝমঝম করে ট্রেন চলছে তার আপন গতিতে। এ.সি. কোচের ঠান্ডার আমেজে অধিকাংশ প্যাসেঞ্জার চোখে ঘুমের রেস। ঘুম নেই সুশান্ত, বসন্তের চোখে। চোখ দুটো তাদের পড়ে আছে অভিষ্ট লক্ষ্যের দিকে।

ট্রেন তখন নৈহাটি পার হয়ে বর্ধমানের পথে। মাঝখানে গিয়ে ব্যান্ডেল হয়ে রামপুরহাটের দিকে মোড় নিতে প্রথমে বসন্ত উঠল তার সিট ছেড়ে। বাথরুম থেকে বাথরুম সেরে বার হতেই সুশান্ত উঠল সিট ছেড়ে। পায়ে পায়ে চলে গেল বসন্তের কাছে। আয়রন চেষ্টের কাছে বসে ছিল পুলিশ। তাদের অসতর্কতার ফাঁকে এক হ্যাঁচকায় দুজনে ছিনিয়ে নিল দুটো বন্দুক। সেই বন্দুক দুটো দিয়ে পুলিশের দিকে তাক করে বসন্ত বলল– আইরন চেষ্টের চেনটা খুলে দিন।

সুশান্ত প্যাসেঞ্জারদের দিকে বন্দুক উঁচিয়ে ধরে বলল– সব চুপচাপ বসে থাকবেন। চেয়ার ছেড়ে উঠলেই গুলি করবো।

দুজনের হুঙ্কারে কেউ আর সাহস পেলো না এগিয়ে আসতে। চেয়ার ছেড়ে উঠতে। পুলিশরা বাধ্য হল চেইন দিয়ে বাঁধা আয়রন চেষ্টের তালা খুলে দিতে। প্রাণের ভয়ে বাধ্য তালা খুলে দিল একজন। সেই খোলা আইরন চেষ্ট এক এক করে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দিল তারা। ঠিক যেভাবে পলাতক তাদের বলে দিয়েছিল। আইরন চেষ্টটি উঁচু রেল লাইনের পাশে থেকে সশব্দে গড়াতে গড়াতে পড়ে গেল একেবারে নিচের রাস্তায়। সেই রাস্তায় আগে থেকে গাড়ী নিয়ে অপেক্ষা করছিল পলাতক। সঙ্গে ছিল দুজন লোক। তিনজন মিলে সেই টাকা ভরা দুটো আইরন চেষ্ট দুটো তুলে নিল তাদের গাড়িতে।

আর বিন্দুমাত্র বিলম্ব না করে ট্রেনের চেন টানল বসন্ত। ট্রেনের ড্রাইভার তো আর জানে না ট্রেনের ভিতরে কি ঘটনা ঘটছে। হোস পাইপ খুলে যেতেই আস্তে আস্তে ট্রেন গেল থেমে। টিলার মত উঁচু জায়গায় সুশান্ত বসন্ত নেমে পড়ল। হাতের বন্দুক দুটো দূরের গাছগাছালি লক্ষ্য করে ছুঁড়ে ফেলে দিল। তারপর একরকম গড়াতে গড়াতেই নেমে পড়ল নিচের রাস্তায়।

ট্রেন লক্ষ্য করেই পলাতকের গাড়িটা এগিয়ে আসছিল। কথামতো তাদের পথে পেয়ে গাড়িতে তুলে নিল পলাতক। তারপর সেই গাড়ি হারিয়ে গেল লোকচক্ষুর অন্তরালে।

এই ডাকাতির দায় যাতে তাদের উপর না বর্তায়, তার জন্য ইচ্ছে করেই পলাতক নিষেধ করেছিল তার সাগরেদদের, যেন লাল কাপড়ে বাঁধা রুপোর টাকা রেখে আসা না হয় ট্রেনের মধ্যে। একবার যদি পুলিশে জানতে পারে তাহলে সোনারগাঁয়ের লোকজনদের ওপর চাপ পড়বে অযথা। তাকে খুঁজে পাবার জন্য বারবার হানা দেবে সেখানে। কিন্তু রাউত সাহেব, অনুজ ভার্মা, অলোক মিত্র কিছুদিনের মধ্যেই আবিষ্কার করে ফেললেন এই কাজটা পলাতকের। বড় বড় হেডিং করে খবরের কাগজে ছাপা হল পলাতকের ছবি। রেইডের মাত্রা বেড়ে গেল সোনার গাঁয়ে।

খবরের কাগজের ছবি দেখে, বিষয়বস্তু পড়ে অবাক হয়ে গিয়েছিল পলাতকের সাগরেদরা। অবাক বিস্ময়ে তারা পলাতককে জিজ্ঞাসা করেছিল– এই কাজটা যে আমরা করেছি, তা সাহেবরা ধরে ফেলল কি করে?

পলাতক বলেছিল– সে কাহিনী শুনে আর তোমরা কি করবে? তবে জানা থাকলে পরবর্তী অপারেশনে আরো সতর্ক হতে পারবে। সে জন্য ঘটনাটা তোমাদের বলছি।

সেসময় তো মোবাইল ফোন ছিল না, ট্র্যাক করে আমাদের লোকেশনের খবরা খবর পাবে। কিন্তু তাতে কি? সাহেবদের মাথায় বুদ্ধি আছে না। তারা রেলের কাছ থেকে প্রথমে সংগ্রহ করলো ওই কোচের প্যাসেঞ্জারদের লিস্ট। সেই লিস্ট থেকে সংগ্রহ করলো তাদের ঠিকানা। এক এক করে ডেকে সকলকে জিজ্ঞাসা করল জিজ্ঞাসাবাদ করল। জিজ্ঞাসা করল অতিরিক্ত কোন প্যাসেঞ্জার সেই কোচে ছিল কিনা? দুজন পুলিশ যারা ছিল তাদেরকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জিজ্ঞাসা করল, কিভাবে ঘটনাটা ঘটেছে? যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তারা দেখতে কেমন ছিল? তাদের পরনে কি পোশাক পরিচ্ছদ ছিল? তারপর অপরাধীদের অনেক ছবি দেখিয়ে তাদের চিহ্নিত করতে বলল। সুশান্ত, বসন্তের ছবি দেখে তারা চিনতে পারল। তাছাড়া যে লোকটা ট্রেনের টিকিট কিনে দিয়েছিল তার নাম লেখা ছিল টিকিট কাটার ফর্মে। তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। কারণ সেই ফর্মে তোমাদের নাম ভিন্ন থাকায় পুলিশ অধিকর্তারা তোমাদের আইডেন্টিফাই করতে পারছিল না। কিন্তু সেই লোকটা বলে দিল সন্তোষপুরের কথা। সন্তোষপুরে যেখানে আমরা আশ্রয় নিয়েছিলাম, সেই ঘরদোর তন্ন তন্ন করে খুঁজে অনেক কিছু প্রমাণ পেয়ে গেল। তারা আমাদের একজন সাগরেদকেও ধরে ফেলল। তবে সেই সাগরেদ ডিটেইলস কিছু জানতো না বলে আমাদের উপর এখনো সে আঁচ পড়েনি। তবে সেই সাগরেদ এখনও জেল খাটছে। তাকে জেল থেকে বার করার চেষ্টা করছি আমরা।

পুরানো দিনের সেইসব কথা মনে মনে ভাবছিল পলাতক। সূর্য তখন পশ্চিমাকাশে মুখ লুকিয়েছে। অন্ধকার ক্রমশঃ গাঢ় থেকে গাঢ়তর হচ্ছে। নিয়নের মেকি আলোতে পথঘাট কিছুটা পরিষ্কার হলেও অন্ধকারের রেশ আছে তাতে। আর গঙ্গানদীর জলে দাঁড়িয়ে থাকার দরকার নেই। গায়ের গেরুয়া কাপড়টা মাথায় পাগড়ি বেঁধে রেখেছিল পলাতক। সেটা কিছুটা টেনে মুখের অর্ধেকটা ঢাকা দিয়ে নিল। তারপর জল থেকে আস্তে আস্তে ডাঙায় উঠে এল। ডাঙায় দাঁড়িয়েছিল অনন্ত। তাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে ঢুকলো ছাপরার ডেরায়। তারপর বুক উজাড় করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল।

কিন্তু মনের মধ্যে ভয় থেকে গেল। ইতিমধ্যে তার কত ছবি রের্কড হয়ে গেছে সি.সি. ক্যামেরায়। ওখানে বসে আছে তার যম অলোক মিত্র। তিনি নিশ্চয়ই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন তার সব ছবি। সাধুবেশি পলাতককে চিহ্নিত করতে তেমন কোন সময় লাগবে না তাঁর। এই অবস্থায় ছাপরা থেকে বার হওয়াও বিপদের। সেজন্য অন্ধকারে জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিল পলাতক।

তাহলে এখন উপায়? ভাবতে ভাবতে পলাতকের মনে হল ভেস বদল করে নিতে হবে। ডাকাতি করতে সব কিছু সাজিয়ে গুছিয়ে করতে হবে। তাই অনন্তকে ডেকে বলল–অনন্ত! তুমি এক কাজ কর। দোকান থেকে দু'তিনটে ভালো ব্লেড কিনে নিয়ে এসো। আর বসন্ত! তুমি আমাদের রাতের খাবার আর দোকান থেকে আমার জন্য ভালো দামী সুট, কোট, ট্রাই কিনে নিয়ে এস। আর সুশান্ত তোমারও একটা কাজ আছে। পুণ্যস্নানের দিন সকালে এক মহিলার ছোট ছেলেকে তুলে নিয়ে আসবে। আর সেই মেয়েটাকে ডেকে নিয়ে আসবে আমার কাছে।

আদেশ পেয়ে সকলেই বেরিয়ে পড়ল। সেগুলো সংগ্রহ করবে বলে। কিন্তু কেউ ভেবে পেল না, পলাতকের আসল লক্ষ্য কি? কি তার উদ্দেশ্য? কি তার অভিসন্ধি?

( ক্রমশ)