একটা সময়ের কথা।
এক ছেলে ছিল। তার নাম অরুণ। তার বাড়ির পাশেই একটা বন ছিল যেটা তাকে খুব আকর্ষণ করত। তাই একদিন সে বনে খেলতে গেল। খেলতে খেলতে সে আরও গভীর
বনে চলে গেল। হঠাৎ তার পায়ের কাছে কী একটা সুড়সুড় করে উঠল। সে তাকিয়ে দেখে, ওমা, এ যে একটা
খরগোশ! সে তাড়াতাড়ি খরগোশটাকে কোলে তুলে নিল। নিয়েই
চমকে উঠল। তার পায়ে একটা কাঁটা গেঁথে আছে। অরুণ ভাবল, খরগোশেরা তো
কাঁটাযুক্ত কিছু খায় না।
তাহলে
কাঁটাটা বিঁধল কী করে? নিশ্চয়ই
কিছু গণ্ডগোল হয়েছে। সে তাড়াতাড়ি কাঁটাটা তুলে ফেলে সেখানে ওষুধ লাগিয়ে দিল। তারপর বাড়ির দিকে পা বাড়াল। কিন্তু খরগোশটার
জন্য মায়া হল। অরুণ তাকেও সঙ্গে নিয়ে নিল।
বাড়ি ফিরে
দেখে বিকেল পেরিয়ে গেছে। জোর বকুনি খেল মায়ের। সে তাড়াতাড়ি দুধ খেয়ে পড়তে বসে গেল।
পড়া শেষ করে অরুণ ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। তখন তার স্বপ্নে এক পরি এসে
বলল, “আজ তুমি এক বিশেষ গুণের পরিচয় দিলে। জীবজন্তুদের প্রতি তোমার এই দয়ামায়া সবসময় রেখো।”
পরদিন ভোরে
ঘুম ভেঙে অরুণ আশ্চর্য হয়ে দেখে, তার বালিশের
পাশে দারুণ এক গল্পের বই রেখে গেছে কে।
কত যে
সুন্দর সুন্দর ছবি তাতে!
ক’দিন পর সুস্থ হয়ে খরগোশটাও বনে ফিরে গেল।