পলাশ তলির কাছেই কোথাও জটিবুড়ির বাড়ি
লতাপাতা, বাকল, শিকড় ফোটায় হাঁড়ি হাঁড়ি
জটাও নেই, জুটও নেই, নেই তো রাঙা চোখ
তবুও তার ঘরের পথ মাড়ায় নাতো লোক
তুক জানে না তাক জানে না কিম্বা মন্ত্রতন্ত্র
তবুও কিন্তু গুজব রটে, বুড়ি করছে ষড়যন্ত্র
কাজের মধ্যে বানায় শুধু নানান রঙা পাঁচন
বনের যতেক পশুপাখি, থাকার মধ্যে আপন
হাওয়ায় হাওয়ায় শুনি, বুড়ি ইন্দ্রজালের রানী
হার মেনে যায় ঐন্দ্রজালিক, ফণা নামায় ফণী
তবে সন্ধ্যে যখন নামে, বাতাস বয় যে চুপিচুপি
কারা ঢোকে বুড়ির দোরে আড়াল করে কুপি
তাদের কারও বাতের ব্যথায় কোমরখানি বাঁকা
জ্বরের তোড়ে শরীরখানি চাদর দিয়ে ঢাকা
কিংবা কারও পেটটি জুড়ে অম্লশূলের জ্বালা
কাশির বেগে ফাটছে দেখি রুগ্ন বুক আর গলা
দণ্ড খানিক কাটিয়ে তারা অন্ধকারে নামে
পাঁচন শিশি সামলে হাঁটে, যে পথ গেছে গ্রামে
দিন রাত্তির পার করে সব সুস্থ শরীর মনে
ঘোরে ফেরে, মন্ত্র পড়ে ছোট্ট শিশুর কানে
বাছা যাসনে ও পথ ধরে, ঐ জটিবুড়ির কাছে
প্রাণখানি তোর কেড়ে নিয়ে লটকে দেবে গাছে