কিন্তু ক'দিন পরেই তিনি ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই সময় ডাক্তারের পরামর্শে তিনি রোজই হাঁটতে বেরোতেন। এবং প্রায়ই গিয়ে উঠতেন পারিবারিক এক বন্ধুর বইয়ের দোকানে। শুধু বই দেখা নয়, বই ব্যবসা সম্পর্কে খোঁজখবরও নিতেন। অবশেষে ঠিক করেন, বইয়ের ব্যবসা করবেন।
বছর পাঁচেক পরে দেখা গেল তাঁর বইয়ের ব্যবসা বেশ ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। ঠিক তখনই তিনি লেখকদের কাছে ভাল পাণ্ডুলিপি চেয়ে নানান পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে শুরু করলেন। কিন্তু মনের মতো পাণ্ডুলিপি না পাওয়ায়, তিনি নিজেই একটি উপন্যাস লিখতে শুরু করলেন। তাঁর এই কাণ্ড দেখে কেউ কেউ আশঙ্কা করলেন, এবার প্রকাশনাটা লাটে উঠবে।
কিন্তু অবাক কাণ্ড! সবার সব আশঙ্কা ভুল প্রমাণিত করে সেই বই হইহই করে বিক্রি হতে লাগল।
রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে গেলেন বইয়ের দোকানের মালিক- হেরমান হেস। বিক্রি হতে শুরু হল কপির পর কপি- পিটার ক্যামেনডিন্ড।
বইয়ের ব্যবসা করতে এসে এই ভাবে নিজেই লেখক হয়ে উঠলেন তিনি। আর এই লেখার জন্যই ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে দেওয়া হল পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম সাহিত্য সম্মান- নোবেল প্রাইজ।