ছড়া - কবিতা ৫ । জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


 কারসাজি 











কৃষ্ণা সিং বেরা

কলকাতা, পশ্চিম বঙ্গ



 

বনের ধারে ঝোপের পাশে ডোবার এক কোণে

ফিসফিসিয়ে চলছে সভা একান্ত গোপনে।

মশা, মাছি পিঁপড়ে শত,

ভনভনিয়ে আসছে কতো,

ষড়যন্ত্রের ঠেক বসেছে এমনটি হয় মনে।

 

ক্ষুদে মতোন হ্যাংলা মশা কাঁদো কাঁদো সুরে

চোখের জলে ডানা মুছে এগিয়ে নালিশ করে

বলছে শোনো, মানুষ সেতো

রাক্ষসেরই বংশ যতো-

গোদা গোদা হাতের চাপে মারছে জোরে জোরে।

 

ঠিক ঠিক ঠিক! ঠিক বলেছো, মানুষগুলোর জ্বালায়

এতটুকু যে জুটবে আহার তারও তো নেই বালাই

চপাৎ চপাৎ চরের জোরে

অসহায় সব মশা মরে!

মানুষের এই অত্যাচারে সবাই কোথায় পালায়!

 

একটুখানি রক্ত খাবার বেশি তো নয় চাওয়া

তার জন্য রেওয়াজ করেই গান শুনিয়ে দেওয়া

তাতেও তো নেই ভক্তি,

মানে না কোন চুক্তি,

দিনরাত্রির পটাং পটাং বুঝি নোবেল যাবে পাওয়া!

 

তাও কী শুধু! কৌশল আর ছকের বাহার ভারি

নানা রকম ধোঁয়া আর ওষুধের জারিজুড়ি

মাঝে মাঝে গন্ধে তে,

জ্ঞানটি হারাই উৎপাতে,

এমনি যদি চলতে থাকে সবাই যে তবে মরি!

 

দানব সমান মানুষগুলো ফাঁদ পাতে দিনরাতে

শক্তি বুদ্ধি আছে বলেই সবকিছু ওদের হাতে!

নিষ্পাপ ছোট প্রাণী যারা

কেঁদে কেঁদে যে দিশেহারা

সুখ শান্তি হারিয়ে গেছে ওদেরই উৎপাতে।

 

এইবার তাই করতে হবে একটা কিছু ফন্দি!

নিত্য নতুন কৌশলে তাই মানুষ করতে বন্দি

বুদ্ধিতে দিতে হবেই শান,

প্রচেষ্টা সব জ্ঞান আহরণ

সসম্মানে ভোজন হবে মানুষই তার রন্ধি।