কত সালে সেটা আমার মনে
নেই। প্রায় বছর কুড়ি হবে। আমি তখন সল্টলেকে সংস্কৃতি নগরায়ন দপ্তরে কর্মরত।
প্রতিবছরের ন্যায় সেই বছরও বার্ষিক সন্ধ্যা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছিল।
কোন শিল্পীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে এবং কোন কবিকে সংবর্ধনা জানানো হবে—এককথায় অনুষ্ঠানের
সূচনা থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত বিস্তারিত আলোচনা। সকলের সিদ্ধান্তে শ্রীমতী হৈমন্তী
শুক্লার নাম উঠে এল। এবার একজন বিশিষ্ট কবির নাম সকলে খুঁজতে শুরু করে দিল।
ইতিমধ্যে আমার দাদা পুণ্ডরীক চক্রবর্তী লেখালেখি জগতে আছেন, তা সবাই জানত। খুব স্বাভাবিকভাবে এই দায়িত্বটা আমার উপর এসে
পড়ল। অফিস থেকে ফিরে দাদাকে সব বললাম। দাদা সব শুনে দাদার খুব কাছের মানুষ কবি
ভবানীপ্রসাদ মজুমদারের নামটি অফিসে জানাতে বললেন। অফিসে জানাবার পর ভবানীপ্রসাদ
মজুমদারের নাম শুনে সবাই আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠল।
অনুষ্ঠানের দিন সে এক
অদ্ভুত অনুভূতি। কবির নাম ঘোষণামাত্র ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট হলে শুরু হল করতালি।
তারপর তাঁর মুখ দিয়ে ঝরতে থাকল একের পর এক মজার ছড়া। তাঁকে সময় বেঁধে দেয়া
হয়েছিল মাত্র একঘণ্টা। দর্শকদের অনুরোধে প্রায় দেড় ঘণ্টার উপর ধরে শোনালেন তাঁর
মজার মজার ছড়া। সেই ছড়া শুনে হাসতে হাসতে ছোটো-বড়ো সবার হৃদয় খুশিতে ভরে উঠল।
কেবল হাততালি আর একের পর এক অনুরোধ।
শুনতে পাই তিনি বর্তমানে
খুবই অসুস্থ। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা জানাই, তিনি
দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।