শানপুরেতে থাকেন তিনি হাওড়া জেলার ছেলে,
পদ্য লেখেন যখন তখন একটু সময় পেলে।
সেসব পদ্য শিশুর মনে ছড়ায় খুশির বান,
বড়োর মনে বাজিয়ে তোলে মূল্যবোধের তান।
পাখির ছড়া লেখেন তিনি লেখেন ছড়া পশুর,
ছড়া পড়ায় ছড়া গড়ায় নেই তো কোনও কসুর।
ফুলের ছড়া লেখেন তিনি লেখেন ছড়া ফলের,
ছন্দ জ্ঞানের গভীরতার খোঁজ মেলে না তলের।
শুনলে ভারি অবাক লাগে ছড়া হাজার কুড়ি,
ছড়া লেখায় তাঁর কলমের নেই তো কোনও জুড়ি।
নন তো রাজা ভবানীপ্রসাদ বাদশাহ
সম্রাট,
ছড়া গড়ায় সবসময়ই ঝকঝকে আর স্মার্ট।
সেই জেলারই ছেলে আমি গর্বে ভরে বুক,
তাঁর নামটা মুখে নিলেই প্রাণে জাগে সুখ।
তাঁর লেখাতে পাই যে খুঁজে বাংলা ভাষার মান,
আঁচলতলে ছড়িয়ে থাকা মাতৃস্নেহের টান।
ভরিয়ে দিলেন ছড়ার ভুবন অন্ত্যেমিল ও ছন্দে,
যেমন ভরে ফুলের বাগান হাসনুহানার গন্ধে।
আমায় দেখে বলে সবাই টাটায় তাদের চোখ,
কারণ নাকি ছড়া সম্রাট আমার জেলার লোক।