প্রসাদ প্রসাদ ছড়ার প্রসাদ বাংলা ভাষার হাতে,
শিশুকিশোর নিত্য দেখি হাত দুখানি পাতে।
কী মোলায়েম কী মনোরম অন্ত্যমিলের ঘটা,
পড়তে গেলে খুলেই তো যায় জটিলতার জটা।
ধরতে গেলে ফুড়ুৎ ফুড়ুৎ উড়তে থাকে ছড়া,
কোন সে ছেলেবেলার থেকে প্রসাদ-ছড়া পড়া।
চমৎকৃত বিস্মিত আর দোদুল্যমান লাগে,
প্রসাদ-ছড়া ভাগ্য ছাড়া পায় না কেউই ভাগে!
কেউ বলেছেন বাদশা তিনি, কেউ বলেছেন নবাব
তাঁর প্রতিভার কী পরিমাপ কে খোঁজে তার জবাব?
ছড়ার দেশে অনেক তারা, চাঁদ ও সূর্য আছে
কার ছড়াতে টাট্টুঘোড়া হৃদয় শুধু নাচে?
কার ছড়াতে ছন্দ লাফায়, কুঁড়ির মতো দোলে
কার ছড়াতে শিশুর মনে খুশির তুফান তোলে?
তিনিই প্রসাদ সেই ভবানী সাতসমুদ্র পাড়ি,
তাঁর প্রতিভার বিচ্ছুরণে পাই না কোনও আড়ি।
যুগ পেরিয়ে যাচ্ছি বটে হুজুগ আছে কত,
আনন্দ আর পালতোলা ঢেউ প্রসাদ-ছড়ার মতো—
পাই না কোথাও সেই মজাদার ছড়ার ডালি গুচ্ছ,
প্রসাদ-ছড়ার মত্ততাতে সব প্রলোভন তুচ্ছ।
তুচ্ছ আরও অনেক কিছুই পুচ্ছ নাড়ে ছড়া,
যুগ পেরিয়ে একাগ্রতায় প্রসাদ-ছড়া পড়া।
কে ছোটো আর কে-বা বড়ো হিসেব রাখে কে?
এই বাঙালি গড়াগড়ি প্রসাদ-ছড়া খে’!