এক যে ছিলেন ছড়ারাজ ছন্দের হরকরা,
সোজা কথায় সহজ ভাষায় লিখতেন সব ছড়া।
কোনোটা হাসির পাগলাঝোরা কোনোটা অনুভবী,
শিশু বৃদ্ধ সবার খোরাক সবার তিনি কবি।
সেই ছড়ারাজ গড়তে সদা শিশুর ভবিষ্যৎ,
‘মাস্টারমশাই’ পাঠও দিতেন আনন্দ ধারাপাত।
পাঠক মনে জোগান দিতে খুশির বান অথই,
লেখেন কবি ‘মজার ছড়া’, ‘ডাইনোছড়াস’ বই।
‘মিঠেকড়া শ্রেষ্ঠ ছড়া’য় দেদার মজা গাঁথা।
‘কোলকাতা তোর খোল খাতাতে’ কল্লোলিনীর কথা।
হাজার কুড়ি ছড়ার ছন্দে সকাল সন্ধ্যা মাত,
সকল পাঠক বলছে আহা! কেয়া বাত কেয়া বাত!
সেই ছড়ারাজ শেখান মোদের ‘স্বাধীনতার মানে’,
‘বাংলাটা ঠিক আসে না’তে শ্লেষের আঘাত হানেন।
ছড়ার ধ্বজা উড়িয়ে কবি জেতেন সবার মন,
নানান পুরস্কারের মালা সংখ্যা অগণন।
হাওড়া জেলার অখ্যাত গ্রাম দক্ষিণ শানপুর,
ভবানী কবির সৌরভে তার গরব ভরপুর।
মিঠেকড়া লেখনীতে অমর ছড়াকার,
সেলাম ছড়ারাজ ভবানীপ্রসাদ মজুমদার।