মজার মানুষ ভবানন্দ, ভবানীপ্রসাদ তিনি
মনের মানুষ প্রাণের মানুষ তাঁকে আমি চিনি।
সব চিঠিরই প্রত্যুত্তর দিতেন তিনি রোজ,
ব্যস্ত খুবই তবু সবার নিতেন তিনি খোঁজ।
আমার কাগজ রূপকথারই ছিলেন বড়ো কবি,
তাঁর ছড়াতে দেখতে পেতাম গল্প-কল্প-ছবি।
মজার ছড়া লিখতে তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত,
রঙ্গ ছড়া, ব্যঙ্গ ছড়ার কবি ছিলেন মস্ত।
মজলিশেতে মধ্যমণি সরেস গল্প ঠোঁটে,
তাঁর গল্পে রামগড়ুরের মুখেও হাসি ফোটে।
এক লহমায় লিখতে পারেন শতেক মজার ছড়া,
কোনোটি তার খাট্টা-মিঠা অন্যটা রসবড়া।
কবির আসর জমিয়ে দিতেন হাসির ছড়া বলে,
ঘণ্টার পর ঘণ্টা কখন গড়িয়ে যেত চলে।
ছোট্ট সোনা ফুলকুঁড়িদের ভালোবাসতেন খুব,
ছোট্টরা তাঁর বইয়ের পোকা দিচ্ছে বইয়ে ডুব।
ব্যাধির গ্রাসে এখন যে তাঁর বন্ধ লেখাপড়া,
আমরা সবাই ছাত্র যে তাঁর, তাঁরই হাতে গড়া।
তাঁর ধারাটি বইছি সদাই, গাইছি তাঁরই গান
সাহিত্যাকাশে আরও বাড়ুক ভবানীদার মান।