বহু বছর ধরেই ভবানীদার
সঙ্গে গভীর সম্পর্ক। তাঁর ছায়াতেই আমার ছড়ার জগতে পদার্পণ। শুধু আমিই নই, বহু মানুষকে তিনি নিজে পথ করে দিয়েছেন এগিয়ে যাওয়ার জন্য।
দেখেছি অনেককে হাতে ধরে শেখাতে। অনেককে নানা পত্রিকায় লেখার সুযোগ করে দিয়েছেন।
ব্যক্তি হিসেবেও তিনি অনেক বড়ো। তাঁর কোনও অহংকার নেই। নির্মল চরিত্রের মানুষ
তিনি। অকপটে কথা বলেন সবার সঙ্গে। শুধু তিনিই নন, তাঁর
পরিবারের সকলের ব্যবহারও অতুলনীয়। আমি নিজে নানা ব্যাপারে তাঁর বাড়িতে গিয়েছি।
তাঁর আতিথেয়তা ভোলার নয়।
ভবানীদা আমাকে নিজে বহু
অনুষ্ঠানে নিয়ে গেছেন। বহু আবৃত্তি প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে তিনি তার সহযোগী হিসেবে
আমাকে নিয়ে গেছেন। তাঁর সহযোগী হয়েছি ছড়া সংকলনের গ্রন্থে। দূরের অনুষ্ঠানে গিয়ে
তাঁর সঙ্গে কাটিয়েছি কত দিন। গভীর ভালোবাসেন বলেই আমার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানালেই
তিনি চলে আসতেন। তাঁকে এভাবে কাছে পেয়েছি তাঁর উদারতার জন্যই।
বিরাটীতে ‘শিক্ষাজগৎ’ পত্রিকার উদ্যোগে সংবর্ধনা
প্রদান করা হয় ছড়া সম্রাট ভবানীপ্রসাদ মজুমদার মহাশয়কে। নীচের ছবিটি তারই। আমার
সৌভাগ্য, আমিই তাঁর করকমলে তুলে দিতে পেরেছি।